মঙ্গলবার ● ২ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর দায়ে মাদ্রাসা সুপার জেল হাজতে
রামগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর দায়ে মাদ্রাসা সুপার জেল হাজতে
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার শিশুপার্ক সংলগ্ন মাহফুজুল কোরআন ইসলামী মাদ্রাসায় ১০বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর দায়ে মাদ্রাসা সুপার মাওঃ আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে মাদ্রাসার ছাদে। ২মার্চ মঙ্গলবার রামগঞ্জ থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই সুপারকে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে প্রেরন করেছে। মাদ্রাসা সুপারে এহেন কুকর্মের খবর উপজেলাব্যাপী সর্বত্র চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী পৌর শহরের শিশু পার্ক সংলগ্ন মাহফুজুল কোরআন ইসলামী একাডেমির হেফজু বিভাগে পড়াশোনা করতো। ২২ ফেব্রুয়ারী পড়ানোর কথা বলে ঐ ছাত্রীকে মাদ্রাসার পরিচালক আবদুর রহিম তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রীটির শরীরের ভিবিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এসময় ওই শিক্ষার্থী বাধা দিলে ছাত্রীর বুকের নিচে লাথি মারে সুপার মাওঃ আবদুর রহিম। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি দেখলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিয়ে ভর্তি করান ওই ছাত্রীর মা । পরে গত ১ মার্চ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে রিলিজ নিয়ে সরাসরি রামগঞ্জ থানায় এসে মামলা করে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার। সে অভিযোগের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশ সোমবার রাতে মাওঃ আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করেছে।
মাওঃ আবদুর রহিমের স্ত্রী মাইমুনা আক্তার জানান, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না এবং কোন কথা বলতে চাই না।
ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে মাওঃ রহিমের আত্বীয়-স্বজন বিষয়টি মিমাংশার জন্য চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে। তবে তার এমন কুকর্মের জন্য আমি তার বিচার দাবি করছি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, শিশু শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মাওঃ আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।