শনিবার ● ৩ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগর সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলে নিলেন শ্রমিক লীগ নেতা
কমলনগর সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলে নিলেন শ্রমিক লীগ নেতা
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সংখ্যালঘু পরিবারের ৬৪ শতাংশ জমি দখলে নিলেন শ্রমিক লীগ নেতা মনির হোসেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নে ৭ নম্বর রানীর বাপের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের মুকুট চন্দ্র দাস ৯৯৯ফোন দিলে পুলিশ এসে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং দখলদারদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাদের ১০লক্ষাধিক টাকার পানের বরজ ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয় এবং চতুর্পাশে বেড়া এবং একটি টিনের ঘর উত্তোলন করেন দখলদাররা। শনিবার সকাল থেকেও উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মনির হোসেন ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সমির চন্দ্র দাসসহ তাদের লোকজন দখলের অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে গেলে আবারও ৯৯৯ ফোন দিয়ে মেলেনি কোন প্রতিকার। বরং ৯৯৯ ফোন করে কেন হয়রানি করা হচ্ছে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারকে ধমকানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মুকুট চন্দ্র দাস ও তার ভাই ত্রিকুট চন্দ্র দাস বলেন, আমার ভাতিজা ডালিম কুমার দাস দীর্ঘ দিন ভারতে অবস্থান করছে। এ সুযোগে শ্রমিক লীগ নেতা মনির ও যুবলীগ নেতা সমির তাদের কাছে ডালিম কুমার ওই জমি বিক্রি করেছেন বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে ইউএনও অফিস ও কমলনগর থানায় অভিযোগ দিলে তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ মনির ও সমিরের নেতৃত্ব ৫০-৬০ একটি দল এসে অতর্কিত হামলা করে আমাদের জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় তারা আমাদের ৬০ শতাংশ জমির পানের বরজ, সুপারি গাছ ও অন্যান্য ফলফলাদি গাছ কেটে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমাদের কোন লোকজন না থাকায় নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ফোন দিলে পুলিশ এসে দেখে চলে যায়। পুলিশ চলে গেলে তারা আবার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
এদিকে উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মনির হোসেন দাবি করেন, ডালিম কুমার থেকে তারা ৬৪ শতাংশ জমি কিনেছেন। দীর্ঘ দিন জমিটি বেদখল থাকায় তারা দখলে নিয়েছেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড মিলন মন্ডল বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কারো নালিশি সম্পত্তি দখল করার কোন বিধান নেই। আমি মনে করি তারা আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। আমি এর নিন্দা জানাই।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ৯৯৯ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।