রবিবার ● ১৮ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে প্রবাসীর বসতঘরে হামলার ঘটনায় পলাতক প্রধান শিক্ষক
কমলনগরে প্রবাসীর বসতঘরে হামলার ঘটনায় পলাতক প্রধান শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রবাসীর বসতঘরে হামলার ঘটনায় পলাতক রয়েছেন আহসান হাবিব। তিনি উপজেলার হাজিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম রোববার (১৮ইজুন) ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। গত ৬জুন লক্ষ্মীপুর জুডিসিয়াল আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতে প্রবাসীর স্ত্রী মাসুমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এর আগে ২জুন শুক্রবার বিকেলে প্রবাসী মোস্তাফিজের বসতঘরে হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদি মাসুমা বেগম ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে উপজেলা সংলগ্ন খোদেজা বেগম থেকে আহসান হাবিবের স্ত্রী তাছলিমা হাবিব তাছনুর সাড়ে ১০ শতাংশ এবং তার ভাগনা প্রবাসী মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ভাই শাহ এমরানের নামে ১১শতাংশ জমি একই দলিলে ক্রয় করেন। ওই জায়গায় আহসান হাবিব ও মোস্তাফিজের পরিবার পাশাপাশি ঘর-দরজা করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু এর ৩ বছর পর আহসান হাবিব খোদেজা বেগম থেকে বাড়ির পাশে নিজের নামে আরো সাড়ে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমি আহসান হাবিব মালিক পক্ষ থেকে বুজিয়ে নেয়নি। এর পর আহসান হাবিব তার জমির মালিকানা বুজে না পেয়ে তার ভায়রা ভাইর ছেলেদের জমি দখলের চেষ্টা এবং বাড়ি হতে ওই পরিবারকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার থানায় বৈঠকও হয়। এরপর মোস্তাফিজের পরিবার তাদের জায়গায় পাকেরঘর তুলতে গেলে আহসান হাবিব আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ধারা জারি করে। ওই মামলা আদালত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে গত ২২মে খারিজ করে দেয়। এর পর ২জুন শুক্রবার প্রবাসী মোস্তাফিজের পরিবার পুনরায় তাদের পাকেরঘর তুলতে গেলে আহসান হাবিব তার ছেলে কামরুল হাসান ফেরদৌস, ভাতিজা শিবলী তালুকদারসহ ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে তাদের ওপর আক্রমন করে। ওই সময় প্রবাসী স্ত্রী মাসুমা বেগম ও তার মা রোকেয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করে তারা। বাড়িতে তাদের পুরুষ কেউ না থাকায় আহসান হাবিবের লোকজন মোস্তাফিজদের বসতঘরে ঢুকে হামলা-ভাঙচুর চালায় এবং তাদের ঘরের মূল্যবান মালামাল ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোস্তফিজের স্ত্রী মাসুমা গত ৬ই জুন বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর জুডিসিয়াল কমলনগর আদালতে প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবকে প্রধান এবং ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলে আদালত কমলনগর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন। এর পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
এ দিকে প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কমলনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জহিরল ইসলাম জানান, আহসান হাবিব বিদ্যালয়ের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনের ছুটি নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন। মামলার বিষয়ে খোঁজ-নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান মামলাটি তদন্তাধীন বলে জামান।