মঙ্গলবার ● ১১ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে আঙ্গুলের খোঁচাতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ ঢালাই
কমলনগরে আঙ্গুলের খোঁচাতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ ঢালাই
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : নির্মাণের দুই দিন থেকে উঠে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের আধাঁরঘর- মিয়াপড়া এক হাজার মিটারের পাকা সড়কের পিচ ঢালাই। আঙ্গুলের খোঁচাতেই সড়কটির পিচ ঢালাই গুড়ায় পরিনত হচ্ছে।
মেসার্স জেডনি এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করতে বিক্ষোভ শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল আনোয়ার।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে আধাঁরঘর- মিয়াপাড়া সড়কের এক হাজার মিটার রাস্তা উন্নয়ন কর্মকান্ডের অধীনে ৮৪লক্ষ ৯ হাজার ছয়শ’ পচাশি টাকা মূল্যে পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলেও ৭৯লক্ষ ৮৯হাজার দুইশ’ টকায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স ভুঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল কার্যাদেশ পায়। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেরা কাজ না করে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে মেসার্স জেডনি এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রি করে দেয়। জেডনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো মোকতার হোসেন কাজ না করে এ পর্যন্ত দু’বার মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ তিনি রমজান আলী নামে এক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দিয়ে দেশের বাহিরে চলে যান। রমজান আলী চার দিন আগ থেকে নিন্মমানের পাথর বিটুমিন কম দিয়ে কাজ শুরু করে। এতে শুরু থেকে সড়কে পিচ ঢালাই উঠতে থাকে। আজকে প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দিয়ে দায়সারাভাবে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে চেষ্টা করলে স্থানীয়া বাধা দেয়।
হাজিরহাট ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন আরাফাত জানান রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দেয়া ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে স্থানীয়রা বাধা দেন। এবং সরকারের বরাদ্দের টাকা সঠিকভাবে তদারকি করে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সড়কের কাজ শেষ করার দাবি করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জেডনি এন্টারপ্রাইজ এর পক্ষে কাজ তদারককারী মো রমজান আলী জানান, কাজ শুরু থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। আমাদের কোন অনিয়ম হয়নি।
কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল আনোয়ার জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এ সমস্যা হয়েছে। আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। সঠিকভাবে কাজ শেষ করা ছাড়া তাদের বিল দেওয়া হবে না।