শনিবার ● ৪ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে অধ্যক্ষের ছেলেকে নিয়োগ দিতে সাজানো পরীক্ষা, অবশেষে স্থগিত
কমলনগরে অধ্যক্ষের ছেলেকে নিয়োগ দিতে সাজানো পরীক্ষা, অবশেষে স্থগিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ছেলেকে নিয়োগ দিতে সাজানো পরীক্ষার আয়োজন করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও শাহজাহান। পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও সাজানো প্রমাণিত হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হন মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিদর্শক ও ডিজির প্রতিনিধি লিপি রানী সরকার। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চরলরেন্স ফরাশগঞ্জ ফয়েজে আম আলিম মাদ্রাসায় ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাও শাহজাহান ফরাশগঞ্জ ফয়েজে আম আলিম মাদ্রাসায় ২০২১ সালের ২৩ মে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ নেন। নিয়োগের পর থেকে তিনি নানা ধরনের অনিয়ম করে আসছেন। চলতি বছরের ৫জুন দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি পদে একটি নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশিত হয়। অধ্যক্ষ তার ছেলেকে নিয়োগ দিতে ওই সময় কেউ যেন আবেদন করতে না পারে এ এলাকার সকল পত্রিকা তিনি সংগ্রহ করে ফেলেন। যার কারণে তখন কমলনগরের কেউ আবেদন করতে পারেনি। বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকায় অধ্যক্ষ মাও শাহজানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জড় ওঠে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সরেজমিন ফরাজগঞ্জ ফয়েজ আম আলিম মাদ্রাসায় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসা মাঠে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে স্থানীয়রা। কেন্দ্রের ভিতরে লক্ষ্মীপুরের কুশাখালী পুকুরদিয়া এলাকার অধ্যক্ষের ছেলেসহ ২জন ও রামগতি উপজেলার দুই জন মোট ৪জন প্রার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম নামে দুই জন, সহিদুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান। এদের মধ্যে অধ্যক্ষের ছেলে মাহমুদুল হাসানের খাতায় মুজাহিদুল ইসলাম আর মুজাহিদুলের খাতায় মাহমুদুল হাসান পরীক্ষা দিচ্ছে। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ডিজির প্রতিনিধি লিপি রানী সরকার তাৎক্ষণিক পরীক্ষা বাতিল করেন।
এ বিষয়ে ফরাশগঞ্জ ফয়েজআম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও শাহজাহানকে অনিয়মের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন তিনি আঁচ করতে পেরে তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন।
ফরাশগঞ্জ ফয়েজ আম আলিম মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম দোলন কিছু জটিলতার কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিদর্শক ও ডিজি’র প্রতিনিধি লিপি রানী সরকার বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রার্থীদের কিছু ত্রুটি প্রমাণিত এবং স্বচ্ছতা না থাকায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অধ্যক্ষের এ সব অনিয়মের বিষয়ে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলেও তিনি আরো জানান।