সোমবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সরকার শেষ রক্ষা পাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ
ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সরকার শেষ রক্ষা পাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
ঢাকা : গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সরকার শেষ রক্ষা পাবে না। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর কাছে নয়। তারা নিজেরাই কয়েকদিন আগে বলেছেন, দেশে নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নাই। তাই তাদের কাছে আহ্বান, তারা যেন গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা মত হটকারীতায় না যান; সেটা হবে জাতির আকাঙ্ক্ষার সাথে বেঈমানী করা।
সোমবার ( ১৩ নভেম্বর) গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর ৪র্থ দফায় ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রেখে সরকারের উপর নৈতিক চাপ বৃদ্ধি করে নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট উত্তরণে সরকারকে বাধ্য করুন ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই যে, দেশে আর একটি নীলনকশার পাতানো নির্বাচন কোনভাবেই জনগণ মেনে নেবে না। সরকার ও সরকারি দল যদি তারপরও জবরদস্তি করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাঁয়তারা অব্যাহত রাখে তাহলে সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের কাজ হবে নৈতিক ও বিবেকের দায় নিয়ে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা। কারণ দেশ ও দেশের মানুষ কোনভাবেই আর একটি ব্যর্থ, অকার্যকর ও তামাশার নির্বাচনের দায় নিতে পারবেনা।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ দখলদার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত অনাস্থা ব্যক্ত করেছে। দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে সরকার এখন গদি রক্ষার শেষ চেষ্টা করছে। কিন্তু এবার দেশের মানুষ এই সরকারকে বিদায় দিতে মরিয়া। তারা বলেন অচিরেই গণ আন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের পথে এই সরকার বিদায় হবে। নেতৃবৃন্দ চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরবর্তী কর্মসূচি:সারাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণ গ্রেফতার, হামলা, মামলা করে প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা বন্ধ ও সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংবিধান সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর দেশব্যাপী ৪৮ ঘন্টা সর্বাত্মক অবরোধ।
গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। মিছিল-সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্য’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখারুল ইসলাম নবাব, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া প্রমুখ।