রবিবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে মাল্টিপারপাসের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেন উপজেলা চেয়ায়রম্যান
কমলনগরে মাল্টিপারপাসের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলেন উপজেলা চেয়ায়রম্যান
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাল্টি পারপাসের নামে সাধারণ মানুষের মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যানের মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পির বিরুদ্ধে। প্রতিদিন গ্রাহকরা তাদের পাওনা টাকা ফেরত পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এসে ভিড় জমান। মানুষের টাকা দেওয়ার ভয়ে নিয়মিত অফিস করেন না তিনি। প্রতিদিন উপজেলার দাপ্তরিক কাজের বিভিন্ন স্বাক্ষরের জন্য তার আবাসিক ভবন যেতে হয়। গ্রাহকরা তাদের পাওনা টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
জানা যায়, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর উপজেলা সমবায় অফিসের মাধ্যমে ফ্রেন্ডস নামে একটি মাল্টি পারপাস চালু করেন। ওই মাল্টি পারপাসের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে তিনি এবং উপজেলা পরিষদের সামনে একটি অফিস নেন। ওই অফিসে তার কিছু লোক নিয়োগ দিয়ে ঋণ ও সঞ্চয়ের মোটা লাভের লোভনীয় অপার দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করেন। কিছু দিন যাওয়ার পর হঠাৎ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন তিনি। পরে গ্রাহকরা তাদের পাওয়া টাকা ফেরত পেতে বার বার তার কাছে আসলেও তিনি মানুষের সাথে তালবাহানা শুরু করেন। এছাড়াও চাকুরী দেওয়ার কথাসহ বিভিন্ন অজুহাতে একাধিক লোক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
সরজমিন উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, চরলরেন্স ইউনিয়নের বৃদ্ধ শেফালীসহ ৩-৪জন মহিলা উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিকে খোঁজেন।
ওই শেফালী বেগমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এক হিন্দু মহিলার মাধ্যমে বাপ্পির অফিসে বীমা করেছি। আমার থেকে ৪০হাজার টাকা নিয়ে বইতে ৩১হাজার টাকা উঠিয়েছে। আমার মেয়েরও আছে ৭হাজার টাকা। এক -দেড় বছর যাবত তার কাছে আসি। টাকাও দেয়না আমাদের ধরাও দেয়না। আমি আমার টাকা ফেরত চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদের সামনের এক ব্যক্তি জানান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরিষদের সামনে একটি মাল্টিপারপাসের অফিস উদ্বোধন করেন। বেশকিছু দিন জমজমাটভাবে চলছিলো। কিছু দিন পর দেখি তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ। শুনতেছি কর্মীদের বেতনও বকেয়া দীর্ঘদিন। আবার অফিসের ভাড়া না দিয়ে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছেন।
এ দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিকে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো.হানিফ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাটি সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।