মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
কমলনগরে মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই তাজল ইসলামের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ইং সনের ১৭ই জুন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজী মুজাফফর আলী ২৩১৩ নম্বর খতিয়ানের ১৩৭৪,১৩৭৬,১৭৯১ ও ১৯৮১বাট্টা১৭৮১ দাগে সমান অংশে তার তিন পুত্রকে ৭১ শতাংশ জমি কবলা দেন। সে আলোকে তার তিন পুত্র তাজল ইসলাম, আবুল কালাম ও শাহ আলম প্রায় ২৪ শতাংশ করে জমির মালিক হন। এর পর তাজল ইসলাম তার মুমূর্ষুাবস্থায় বাবা থেকে ২০১১সালে ৭ শতাংশের একটি ভুয়া দলিল নেন। ওই সময় তার বাবা হাজী মুজাফফর আলীর নামে কোন জমি ছিলনা। এর পর তাজল ইসলাম বিভিন্ন দলিলে ২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন। তাজল ইসলাম তার সকল জমি বিক্রি করার পরেও ওই দাগে তার আরো জমি আছে বলে দাবি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মৃত আবুল কালামের স্রী আলেয়া বেগম বলেন, আমার শ্বশুর জীবিত থাকা অবস্থায় তার তিন ছেলেকে ৭১ শতাংশ জমি কবলা করে দেয়। আমার ভাসুর তাজল ইসলাম ওই দাগে তার সকল জমি বিক্রি করে দেয়। দীর্ঘ দিন থেকে তাজল ইসলাম তার জমি এখনো আছে বলে দাবি করে আসছে। আমাদের দখলীয় জমিতে আমরা কোন কাজ করতে গেলে সে বাঁধা সৃষ্টি করে। এবং জমি দখল করতে না পেরে আমাদের দুই পরিবারকে তার বাড়ি লুটসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করে আসছে। আমরা তার এ অন্যায় অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
একই পরিবারের শাহ আলমের ছেলে আজগর হোসেন বলেন, আমার দাদার তিন সন্তান। আমার জেঠা তাজল ইসলাম শিক্ষিত হওয়ায় বিভিন্ন কৌশলে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। তার ছেলে সরকারী কর্মচারী জাকির হোসেনের প্ররোচনায় এ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে তার বাড়ি লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা করে। তিনটি মামলা আমাদের পক্ষে রায় হয়। আমাদেরকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা পর্যন্ত তার যা যা করা দরকার তিনি তাই করবেন বলে বিভিন্ন মহলে প্রচার করছেন। আমরা তার এ সব অপকর্মের সঠিক বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত তাজল ইসলাম দাবি করছেন তার বাবার দেওয়া জমি তার ভাইয়ের ছেলে মেয়েরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। নিরুপায় হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি কোন হয়রানিমূলক মামলা করেননি।