রবিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে নাকাল কমলনগর
পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে নাকাল কমলনগর
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। কাজ শেষে বাসায় ফিরে একটু বিশ্রাম বা শান্তিতে ঘুমানোরও জো নেই এ উপজেলার সাধারণ মানুষের। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।
দু,চারজন আইপিএস এর সাহায্যে বিদ্যুতের অভাব মেটালেও দুর্মূল্যের বাজারে গরিব-খেটেখাওয়া মানুষের পক্ষে মোমবাতি জোগাড় করাও কষ্টসাধ্য। বিদ্যুৎ সংকটে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
প্রচন্ড তাপদহ এবং গন গন লোডশেডিংয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
কমলনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলা গ্রাহক সংখ্যা ৫১ হাজার। বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১০ মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৪ মেগাওয়াট।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এ উপজেলার কয়েকজন গ্রাহক জানান। শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। কিন্তু প্রয়োজনে বিদুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এ উদ্যোগ জনগনের জন্য কতটুক সুফল বয়ে আনছে আমরা জানিনা। জনগণের কথা মাথায় রেখে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো দরকার।
কমলনগর পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের ডিজিএম নিথীশ শাহা বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় একটু সমস্য হচ্ছে। প্রতিদিন যতটুকু বিদ্যৎ পাচ্ছি ততটুকুই গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করছি। আমাদের হাতে কিছুই নেই।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, প্রচন্ড তাপদাহ ও বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষের কষ্ট হচ্ছে বুজতেছি। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।