সোমবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » উপজেলা ছাত্র দলের নেতৃত্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তার ওপর হামলা
উপজেলা ছাত্র দলের নেতৃত্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তার ওপর হামলা
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে দুই ইউনিয়ন পরিষদে হামলার ঘটনা ঘঠেছে। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও সদস্য সচিব মোঃ জাফর আহম্মদসহ তাদের লোকজন সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের উদোক্তা মাকছুদুর রহমান ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তারা। হামলার শিকার সিরাজ(মেম্বার) তোরাবগঞ্জ ইউপি’র ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও উদ্যোক্তা মাকছুদ ছাত্রদলের নেতা বলে জানা যায়।
রবিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ফাযিল বেপারির হাট বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকারের পতনের পর তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ওই ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম। রবিবার দুপুরে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু ও সদস্য সচিব জাফর আহমেদ এর নেতৃত্বে ১০-১২ টি হোন্ডা দিয়ে ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোঁটা নিয়ে পরিষদের সামনে যায়। পরে পরিষদের ভিতরে গিয়ে সিরাজ মেম্বারের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।এর আগে তারা সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানকে না পেয়ে তার উদ্যোক্তাকে পিটিয়ে আহত করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ ও সদস্য সচিব জাফরের নেতৃত্বে ১০-১২ টি মটর সাইকেলে ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপকে দেখা যায়। এবং ‘সবাই চলে আসো, কাজ শেষ’ বলে তারা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলে আসেন।
পরিষদের অনার বোর্ড ভাঙ্গা, মাটিতে পড়ে আছে। এবং আসবাবপত্র উলোটপালোট পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা জানান, ৫ আগস্টের পর এই পরিষদের চেয়ারম্যান নাই। দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সিরাজ মেম্বার। এই পরিষদ এখন বিএনপি’র স্থানীয় অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি ১৫ তারিখে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন এই অফিসে করা হয়েছে।
হামলার শিকার প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজ জানান, এরা সবাই আমাদের দলীয় লোক। পরিষদে ডুকে আমাকে তুই, তোকারি বলে আমার উপর হামলা করে।পরে পরিষদের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
তোরাবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা আশরাফুল জামান রাসেল বলেন, আমি ইউএনও’র কাছ থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসেছি
ছাত্রদলের লোকজন গিয়ে আমার পরিষদে গিয়ে হামলা করে এবং আমার প্যানেল চেয়ারম্যানকে মারধর করে।
সাহেবেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো.আবুল খায়ের জানান, ছাত্র দলের লোকজন গত কাল শনিবার পরিষদে গিয়ে পদত্যাগ করতে হুমকি দেয়। (আজ) রোববার দুপুরে আবার ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ পরিষদে গিয়ে আমাকে না পেয়ে আমার উদ্যোক্তা মারধর করে। বিষয়টি আমি ইউএনওকে জানিয়েছি।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু জানান, এই পরিস্থিতিতে ভোটি বিহীন চেয়ারম্যানেরা পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।খবর পেয়ে আমরা চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে সচিব দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলে আসছি।হামলা- ভাংচুরের ঘটনা সত্যি নয়।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসানন মাহমুদ ইব্রাহিম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে এখনো জানিনা। ঘটনার সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।