সোমবার ● ৪ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য জনস্বাস্থ্যের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য জনস্বাস্থ্যের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনস্বাস্থ্যের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে৷ সোমবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত এলাকা এক একর জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্টের কাজ চলছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর চরসীতা এলাকার আলী হায়দর রামগতি উপজেলার ৪৪ নম্বর চর নেয়ামত এলাকায় ডিয়ারা জরিপী ২২৩ নাম্বার খতিয়ানের ২৮৫, ২৮৭,২৮৮ এবং আর এস ১৩৩২খতিয়ানের ৫৫০ দাগে এক একর জমি রামগতি পৌরসভার কাছে বিক্রি করে। প্রকৃত অর্থে ওই জমির মালিক আলী হায়দর নন। পরে রামগতি পৌরসভা জমি দখল করতে গেলে ওই সময় ফসল ভাঙার অভিযোগে ফরহাদ হোসেন বাদি লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করে। মামলা চলাকলীন সময় পৌরসভা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে আদেশ দেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তাদের কাজ শুরু করলে গত বছরের ২৯ নভেম্বর তাদের জমি পেরত পেতে প্রকৃত মালিক নুরুল আমিন গংরা আদাতে মামলা করে। ওই মামলার আলোকে গত মাসের ১৪তারিখে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। নিষেধাজ্ঞার পাওয়ার পর আদালতের আদেশকে তোয়াক্কা না করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তাদের কাজ চালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে প্রকৃত জমির মালিকদের মধ্যে গোলাম হোসেন বলেন, ডিয়ারা জরিপী ২২৩ নাম্বার খতিয়ানের ২৮৫, ২৮৭,২৮৮ এবং আর এস ১৩৩২খতিয়ানের ৫৫০ দাগে আলী হায়দর কোন মালিক নন। কিন্তু তিনি ভূমি অফিসের আঁতাত করে খতিয়ানে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রায় ৯ একর জমির মধ্যে এক একর জমি রামগতি পৌরসভার কাছে বিক্রি করে দেয়। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা আমাদের জমি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। গোলাম হোসেন আরো বলেন, এ আলী হায়দর ও তার ছেলে জুলফিকার আলী পূর্ব সীতা আরো তিনটি খতিয়ানে ভূমি অফিসের সাথে আঁতাত করে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে জোনাল সেটেলম্যান্ট অফিসে দরখাস্ত করে আমাদের জমি ফেরত নিয়েছি।
রামগতি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী তানবীরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণের পৌরসভা জমি বুজিয়ে দিয়েছেন। সে আলোকে আমরা কাজ করছি। কাজ শেষ হলে আমরা আবার পৌরসভাকে বুজিয়ে দিব। আদালতের নিষেধাজ্ঞা বা কোন মামলার বিষয়ে আমি জানি না।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসন বলেন, জনস্বাস্থ্যের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার নলেজে নেই।
এ বিষয়ে রামগতি পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রেজা বলেন, আমি এ এলাকায় নতুন। আগের মেয়র কিভাবে জমি নিয়েছেন আমার ধারনা নেই।আমি খোঁজ নিয়ে জানাবো।