বুধবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কমলনগরে গৃহবধূর অনশন
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কমলনগরে গৃহবধূর অনশন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন তামান্না বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার (১৩নভেম্বর) সকালে উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নে দুধ ব্যপরীর বাড়িতে অনশনে বসেন এ গৃহবধু। তামান্না একই এলাকার মহি উদ্দিনের মেয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গৃহবধু তামান্না বেগম তার স্বামী মো.শামীমের বাড়ির উঠানে বসে আছেন। ঘটনার পর থেকে শামিম পলাতক রয়েছেন।
ওই সময় অনশনরত গৃহবধু তামান্না বলেন, দুই বছর আগে জেলার রামগঞ্জের জহিরের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের দু’মাসের মাথায় তার বাবার বাড়ির পাশ্ববর্তী শামিমের সাথে ফোনে যোগাযোগ হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । শামীম তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার আগের স্বামীকে ছেড়ে দিতে বলে। তামান্না শামীমের কথায় স্বামীর বাড়ি থেকে এসে জহিরকে তালাক দেয়। পরে শামীম এক বছর আগে লক্ষ্মীপুর আদালতে গিয়ে ৫লাখ টাকা কাবিনে নোটারীর পাবলিকের মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করেন। সেই থেকে শামীম আমার বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। হঠাৎ শামীম তাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে গড়িমড়ি শুরু করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করছেন। শামীমের পরিবারের সাথে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার কথা এবং বৈঠক হয়। তার পরিবার আমাকে মেনে নিতে রাজি হচ্ছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এলাকার গণ্যমান্য জনেরা আমাকে ঘরে তুলে নিতে তাদের জানিয়েছেন। তারা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তোয়াক্কা করছে না। উল্টো আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াি আমার পরিবারকে শামীম ও তার পরিবারের লোকজন নানাভাবে হয়রানি, হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, আমার নতুন সংসার ভেঙে শামিম আমাকে বিয়ে করে। এখন আমাকে তার ঘরে উঠাচ্ছে না। সে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই মুহুর্তে আমি কোথায় যাবো। যতদিন পর্যন্ত স্ত্রীর মর্যাদা না পাবো, ততদিন আমি এখানে থাকবো।
চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো হারুন জানান মেয়ে তার পরিষদে গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। মেয়ের কথা শুনে শামিমের সাথে কথা বলেছেন তিনি । শামিমের সাথে এ মেয়ের কোন সম্পর্ক নেই এবং সে কোন বিয়ে করেনি বলে তাকে জানান।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন এবং ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানকে সমাধান করে দিতে বলেছেন।