বুধবার ● ৯ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
কমলনগরে খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যার রোকসানা আক্তার রুক্সি চরলরেন্স বাজারের পাশে খাটাখালী খাল দখল করে এ ভবন নির্মাণ করছেন। এ ঘটনায় দখলের অভিযোগ এনে ওই এলাকার মো. বাহার নামের এক ব্যাক্তি রোকসানা আক্তার ও তার স্বামী মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও ওই খালের পাড় থেকে ৩লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি করই গাছ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদেরকে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী মো. গিয়াস উদ্দিন উপজেলার চরলরেন্স বাজারের পূর্ব পাশে একটি টিনসেট বাসা নির্মাণ করে দীর্ঘ দিন থেকে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি তার বাসার পাশে খাটাখালী খাল দখল করে ৫তলা ফাউন্ডেশনের একটি ভবন নিমাণ করছেন। ভবন নির্মাণ করতে খালের পাশে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি করই গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন।
এভাবে উপজেলার জারিরদোনা খাল, নাকশিয়ার খাল, এমপির খাল, তুলাতলী খালসহ প্রায়ই খালে দখলের মহোৎসব চলছে। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। খালগুলো দখল হয়ে যাওয়া বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ছে জলাবদ্ধতা। জলবদ্ধতার কারণে কৃষি নির্ভর এ এলাকায় সয়াবিন মরিচ, বাদাম, আউশ, আমনসহ ফসলের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে কৃষক প্রতিদিন ধার দেনা করে সহায় সম্বল হারাচ্ছে। আর এক শ্রেণির আসাধুরা আঙ্গল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। যারের এ বিষয়ে দেখভাল করার কথা; তাদের উদাসীনতায় দখলের এ মহোৎসব চলছে বলে বিশেষ মহল দাবী করছেন।
এ বিষয়ে মহিলা ভাইস চেয়াম্যানের স্বামী আওয়ামীলীগ নোতা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বাসার টয়লেট নির্মাণের জন্য খালের সামান্য কিছু অংশ তিনি দখল করছেন।
এদিকে কমলনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার রুক্সি জানান, আমি আমার নিজের জায়গায় ঘর করছি। একটি পক্ষ আমার সাথে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে ইউএনও অফিসে খাল দখলের অভিযোগ দিয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের জানান, খাল দখল ও সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে খালে গাছের অনেকগুলো গুড়ি পড়ে থাকতে দেখেছেন। কোন জায়গা থেকে গাছ কেটে নেয়া হয়েছে এর নির্দেশনা তিনি পাননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত রির্পোটের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।