রবিবার ● ২৯ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মেঘনার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র
মেঘনার তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা ও কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সর্বদলীয় একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করার দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বোরবার বিকেলে উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজারের প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমলনগর উপজেলা শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মুফতি শরীফুল ইসলাম জিহাদী. ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদক, একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা দফতর সম্পাদক, মাওলানা নুরুল আলম মুসা, আলহাজ্ব আবদুর রহমান, মাও ওমর ফারুক, মোসলেহ উদ্দীন, আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, মাওলানা নজিরুল ইসলাম, মাওলানা হোছাইন আহমেদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম মেরাজ, মোহাম্মদ শোরাফ উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
এ সময় বক্তার্যা বলেন, মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর রক্ষা কল্পে বাংলাদেশ সরকার ৩হাজার ৮৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেন জাতীয় অর্থনীতি নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বিশাল এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হলে কাজের মান টেকসই হবে। কিন্তু কিছু ক্ষমতালোভী-স্বার্থপর রাজনীতিবীদ ও দুর্নীতিবাজ আমলারা এই কাজটি নিয়ন্ত্রণ ও কমিশন বাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারী করতে নিজেদের মত করে টেন্ডার আহবান করে। এতে রামগতি-কমলনগরের সাড়ে সাত লাখ মানুষের হৃদয়ে চরম আঘাত দেওয়া হয়েছে। দু’উপজেলার সাড়ে সাত লাখ মানুষের প্রাণের দাবীকে উপেক্ষা করে সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে এই টাকা লুটপাটের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে যাচ্ছে, যা নদী ভাংগা মানুষের সাথে প্রতারণার শামিল। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, ২০১৫সালে রামগতি আলেকজান্ডার এলাকার সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় সেখানে টেকসই বাঁধ হয়েছে।
অপরদিকে সাধারণ ঠিকাদার দিয়ে কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকায় নির্মিত বাঁধটি এ পর্যন্ত ১০ ধসে পড়েছে। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কমলগরের এক কিলোমিটার বাঁধ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে প্রমানিত হয় সাধারণ ঠিকাদারের মাধ্যমে টেকসই ও মজবুত বাঁধ সম্ভব নয়।এতে নদী বাঁধের টাকা নদীতে ভেসে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এ সময় নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি করে দিয়ে বলেন, জনগনের ঘাম ঝরানো ও পরিশ্রমের টেক্সের এই টাকা লুটপাট করার অপচেষ্টা করা হলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। প্রয়োজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শতভাগ কাজ আদায়ের জন্য আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রামগতি-কমলনগরের সর্বদলীয় প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, আলেম সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি তদারকি ও পর্যবেক্ষক কমিটি গঠনের দাবী জানান তারা।