বুধবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » তীব্র তাপদাহে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুরা
তীব্র তাপদাহে লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুরা
ইউছুফ আলী মিঠু, নিউজ এ্যাডভান্স
লক্ষ্মীপুর : ঋতুর পরিবর্তন তীব্র তাপদাহে লক্ষ্মীপুরে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ভ্যাপসা গরমে ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগে ভুগছে তারা। এসব কারণে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল,কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ প্রায় হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা।
সরেজমিন সদর হাসাপাতাল ও কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীর উপস্থিতিই বেশি। হাসপাতালে নিয়ে আসা শিশু রোগীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগ ও ভাইরাস জনিত জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিটি হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্টের কক্ষের বাইরে অপেক্ষায় রোগীর দীর্ঘ লাইন।
চিকিৎসকের কক্ষের বাইরে লাইনে থাকা কয়েকজন রোগীর অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে সর্দি,কাশি ও ডায়রিয়ার সমস্যার জন্য শিশুদের কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসছেন। কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মরিয়ম নামের একজন বাচ্চা নিয়ে লাইনে দাড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে ঘেমে গিয়ে তার বাচ্চার ঠান্ডা লেগেছে। তার মেয়ের বুকে কফ জমে একদম নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। কিছু খেতেও চায় না।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু কনসালটেন্ট ডাক্তার নাসিরুজ্জামান জানান, এখন শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী। প্রতিদিন তিনি গড়ে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী দেখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে শিশু রুগীর সংখ্যা। “তাপদাহ, ভ্যাপসা গরম ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে তিনি আরো বলেন।”
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশু রুগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। কোন শিশু ওয়ার্ড খালি নেই। প্রতিদিন এভাবে শিশু রুগী বাড়তে থাকায় নিশ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে। শিশু রুগীদের চিকিৎসার স্বার্থে আমাদের অতিরিক্ত নজরদারী রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সিভিন সার্জন ডা. আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী জানান, কভিড-১৯এর পরে প্রায়ই বাড়িতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংখ্যা বাড়ছে। এতে শিশুদের জ্বর,সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শিশুদের সাথে সাথে তাদের বাবা মাও আক্রান্ত হচ্ছে। যারাই আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বাজায় রেখে চলা ফেরা করা এবং নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করা।