সোমবার ● ২৫ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২২ দিনে ২৬০ অভিযান, ৩৭টি মোবাইলকোর্ট ও ৮২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২২ দিনে ২৬০ অভিযান, ৩৭টি মোবাইলকোর্ট ও ৮২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা
মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে গত ২২ দিনে ২৬০ টি অভিযান চালিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ। অভিযানে ৩৫ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ৫১০মাছঘাট, ৭৩০আড়ৎ ও ৮৬০ বাজার পরিদর্শন করেছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে ৩৭ টি এবং মামলা হয়েছে ১৯টি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ৩৫ জেলেকে ৮৭ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। চার লাখ ১৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৮২লাখ ৬০হাজার টাকা। আর ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে এক হাজার ১৪৫ কেজি। জব্দকৃত ইলিশ মাছগুলো বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয় এবং মাছ শিকারের জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
জানা যায়, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষার্থে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সকল ধরনে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে মৎস্য বিভাগ। নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ জন্য নদীর পাশাপাশি উপকূলীয় মাছঘাট এবং হাটবাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জেলা মৎস্য অধিদফতর।
জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের সমন্বয়ে নদীতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।
জেলাতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি জেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৩২ জন। নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে এদের মধ্যে জেলার তালিকাভুক্ত ৩৭ হাজার ৭৮৬ জন জেলেকে ভিজিএফ এর আতওায় ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করতে যেন না পারে সেজন্য নদীতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়েছি। আমাদের অভিযান সফল হেেয়ছে। আমি আশা করছি বিগত বছরের তুলনায় এ বছর নদীতে ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।