শনিবার ● ৬ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » তেল ও গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
তেল ও গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
ঢাকা : জ্বালানি তেল ও এলপিজি গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টায়বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহবায়ক যুবায়ের রহমানের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেএসডি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল তারেক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা, সহ সভাপতি গোলাম ফারুক সরকার সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম মুক্তার, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ সিয়াম,দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ, কেন্দ্রীয় নেতা এলাহান কবীর প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমতির দিকে থাকে তখন দাম সমন্বয় করে কমানোর কোন উদ্যোগ সরকারের তরফ থেকে আসে না। সরকার যদি বিপিসির বিভিন্ন পর্যায়ের শুল্ক ও কর হ্রাস করে দাম সমন্বয় করতো, তাহলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন ছিলো না।কিন্তু সরকার জনস্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থে দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনজীবনে সীমাহীন দূর্গতি ডেকে এনেছে। গত একদশক ধরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে চাল-ডাল- তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি যখন জনগণের জীবন বিপর্যস্ত করে চলেছে সেসময় ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি মড়ার উপর খাড়ার ঘা ছাড়া কিছু নয়। কেননা এই মূল্যবৃদ্ধি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের,পরিবহন ভাড়া,বিদ্যুৎ সহ প্রভৃতির দাম বাড়িয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি ঘটাবে। অবিলম্বে ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবী জানাই।
নেতৃবন্দ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকায় বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন। ওদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাতটি সরকারি কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ১৯ প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবহন সঙ্কটে ভোগান্তিতে পড়ে লাখো পরীক্ষার্থী আর চাকরিপ্রার্থী। অনেকেই সময়মত পৌছাতে না পারায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে নাই। সরকারের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কারণে সৃষ্ট পরিবহন সঙ্কটে ভোগান্তিতে লাখো পরীক্ষার্থী আর চাকরিপ্রার্থীর পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার দায় সরকারকে নিতে হবে। অবিলম্বে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা পরীক্ষার্থী আর চাকরিপ্রার্থীদের পূণরায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতৃবন্দ আরও বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে যবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষার পর পুনরায় আবেদনের জন্য অর্থ চাওয়া অবিবেচনাপ্রসূত। এভাবে যদি বাকি ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ও আবেদন ফির তালিকা দিয়ে দেয়, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? অথচ গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর সময় বলা হয়েছিল- অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি-দৌড়ঝাঁপ, আর্থিক চাপ কমাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি। কিন্তু এমন ফি আদায়ের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে আরো বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হলো। করোনার এই সংকটে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে পরিবারগুলো যখন দিশেহারা তখন এরূপ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানবিক নয়। এর ফলে অনেকেই চান্স পেয়েও টাকার অভাবে আবেদন করতে না পেরে হতাশাগ্রস্থ হবেন। এমনিতেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার কারণে সমাজিক-মানসিক চাপে থাকেন। এর উপর এই অযৌক্তিক ফি এর বোঝা তাদের মানসিক চাপ আরো বাড়িয়ে তুলবে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো অযৌক্তিক ফি আরোপ কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধুমাত্র মানবিকতার কারণেই নয় অযৌক্তিকতার কারণেই অবিলম্ভে অযৌক্তিক আবেদন ফি বাতিল করতে হবে।