শনিবার ● ২৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার(২৮মে)সকালে উপজেলা পাটারিরহাট এলাকার মেঘনার নদীর পাড়ে পাটোয়ারী হাট রক্ষা মঞ্চ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, পাটোয়ারী হাট রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক আবুল বাসার বাকি, হারুনুর রশিদ পাটোয়ারী, পাটারিরহাট হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সারোয়ার আলম সর্দার, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আকতার হোসেন পাটোয়ারী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ও পাটারিরহাট রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, নদী ভাঙন রোধে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ৩১ শত কোটি টাকা ফাইল অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ১৯ নম্বর পয়েন্ট পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নের তিনভাগে বিভক্ত। পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নে তীর রক্ষা বাঁধে কোন ধরণের কাজ হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত মেঘনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে খুব শীঘ্রই পাটোয়ারী হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
‘আগামী এক সাপ্তাহ’র মধ্যে পাটোয়ারী হাট এলাকায় ভাঙন রোধে তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না করলে সড়ক অবরোধ, উপজেলা পরিষদ ঘেরাও সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তরা।’
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, বালু সংকটের কারণে মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধের ডাম্পিংয়ের কাজ কিছু দিন বন্ধ ছিল । এখন বালু সংকট কেটে যাওয়ায় আবার ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাটারিরহাট এলাকায় ডাম্পিংয়ের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৩০ বছরে মেঘনা নদীর ধারাবাহিক ভাঙনে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ২৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় লক্ষাধিক বাসিন্দা। গত বছরের জুন মাসে ‘লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট এলাকা ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি’ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন হয়। ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একই বছরের আগস্ট মাসে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো কাজ ৯৯ প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। উদ্বোধনের পর সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার পর কাজ বন্ধ রয়েছে। নেই কাজের কোনো অগ্রগতি।