শনিবার ● ৩০ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত ২৫, গুলিবর্ষণ
রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত ২৫, গুলিবর্ষণ
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার দুইটি ভোট কেন্দ্রে কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকরা রামগঞ্জ-চাটখিল সোনাইমুড়ি সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। শনিবার দুপুরে পৌরসভার কাজিরখিল,সোনাপুর,টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে দিনব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সকাল ১০টায় পশ্চিম কাজিরখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী মামুন তার প্রতিদন্ধী আনোয়ার হোসেন জিতু দেওয়ানের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার সংঘর্ষের শুরু হয়। এক পর্যায়ে জিতু দেওয়ানের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করলে এতে আলমগীর হোসেন, কামাল হোসেন ও জামসেদসহ ৩জন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়।
এছাড়া দুপুর ২টায় সোনাপুর ওয়ার্ডের সোনাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের নিকট থেকে ব্যালট কেড়ে নেয়ার কারনে কামরুল হাসান ফয়সাল মাল ও ডালিম প্রতীকের শাখাওয়াত হোসেন রাজু সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এসময় দফায় দফায় সংঘর্ষে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫জন। আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এর কিছুক্ষন পর টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রেও দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দফায় দফায় হামলা করা হয় গাজর প্রতীকের প্রার্থী মামুন ভূইয়া সমর্থকদের উপর হামলা ও বাড়ীতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই অভিযোগে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে আরো ৫জন আহত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংর্ঘষে ৫পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ গুলি ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এছাড়াও ভোটারগন শান্তিপূর্ন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানান তিনি।