সোমবার ● ১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি ও কৃষক » কমলনগরের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ, লক্ষমাত্রা অর্জনে ব্যাপক প্রস্তুতি
কমলনগরের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ, লক্ষমাত্রা অর্জনে ব্যাপক প্রস্তুতি
ইউছুফ আলী মিঠু, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করছেন সফল কৃষক মো. সেলিম। এ বছর শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে তৃপ্তি, ব্লাক ড্রাগন ও সুইট ড্রাগন এ তিন জাতের তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ৫০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ, বীজ ও মাচা তৈরিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর অধিকাংশ সহযোগীতাই করা হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে। তার প্রকল্প দেখভাল করার জন্য একজন উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা সবসময় নিয়োজিত রয়েছেন। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা আসলে পুরো উপজেলায় চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে কৃষি বিভাগের।
কৃষক মো. সেলিম জানান, দীর্ঘদিন থেকে কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি শসা, বেগন, ব্রুকলিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছেন। এ মৌসুমে শসা চাষ করে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন। তার ক্ষেতের সবজি কমদামে ক্রেতাদের কাছে তিনি সরাসরি বিক্রি করছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী তিনি ব্যবহার করছেন না। বর্ষা মৌসুমে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা ব্লকে তিনি ৫০শতাংশ জমিতে পরীক্ষামুলক গ্রীষ্মালীন উন্নত জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বীজ, সার, পলেথিন ও মাচা তৈরীসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন এবং সার্বক্ষণিক তাদের এক জন কর্মকর্তা দেখভাল করছেন।
চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) ও কমলনগর উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরীক্ষমূলক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষক মো. সেলিমকে উদ্বোদ্ধ করা হয়েছে। এখানে তৃপ্তি জাতের হলুদ ও কালো রঙ্গের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। ক্ষেতে ভাল ফলন এসেছে। আমরা আশা করছি কৃষক অনেক লাভবান হবে।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, ধানের পাশাপাশি কৃষকদের বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তরমুজ একটি লাভজনক অর্থকারী ফসল। পরীক্ষামূলক উপজেলার চরলরেন্স, চরকাদিরা ও পাটারিরহাট ইউনিয়নে তিন জাতের বারোমাসি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেছেন তারা। কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ ও নগদ টাকাসহ সব ধরনের সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। তারা সফল হলে অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হবেন বলে আমি মনে করি।