বুধবার ● ১৭ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা,আহত-১৬
কমলনগরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা,আহত-১৬
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার চরমার্টিন নাসিমিয়া হোছাইনিয়া স্বতন্ত্র এবতেদয়ী মাদ্রাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ১৬জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলো- ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, সহকারী শিক্ষক পান্না আক্তার, সজিব মিয়া,বেলাল হোসেন, মোশারফ হোসেন, মাকছুদুর রহমান, শিক্ষার্থী আফরিন জান্নাত মিম, জিহাদ হোসেন, রুমি আক্তার, শাহিনুর আক্তার, রুবিনা আক্তার, ফাহিয়া আক্তার, তানহা আক্তার, মরিয়ম আক্তার, নিপু বেগম ও তাহা আক্তার।
জানা যায়, বছরের ১৭ জানুয়ারী লক্ষ্মীপুর জেলার মমিন উল্লাহ চৌধুরীর কাছ থেকে মাদ্রাসা সংলগ্ন ২০শতাংশ জমি মাদ্রাসা ও বাইতুন নুর জামে মসজিদের জন্য ক্রয় করেন। ক্রয় করার পর মালিক মাদ্রাসা ও মসজিদের জমি বুজিয়ে দেন। ওই জমি দীর্ঘদিন একই এলাকার নুরুল আমিন জমি জবর দখল করে রাখেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘর করতে গেলে নুরুল আমিন ৩১ মার্চ আদালতে একটি মামলা করলে আদালত ১৪৪ধারা জারি করেন।
এবং স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। ভূমি কর্মকর্তা মাদ্রাসা ও মসজিদের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। আদালতের নির্দেশে (আজ) বুধবার কমলনগর থানা পুলিশ দু’পক্ষের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা ও মসজিদের জমি বুজিয়ে দেন। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের জমিতে ঘর উঠাতে গেলে নুরুল আমিন, তার ছেলে আনোয়ার হোসেন, আজাদ উদ্দিন, নুরকরিমসহ ১০-১২জন অতর্কিত হামলা চালায়।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মাদ্রাসার সম্পত্তিতে ঘর তুলতে গেলে নুরুল আমিন ও তার ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে নুরুল আমিন দাবি করে বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ঘর তুলতে গেলে আমরা বাধা দেই। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তাঁর ছাত্র -ছাত্রীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমার এক ছেলে ও মেয়ে আহত হয়। আমি তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মাদ্রাসা ও মসজিদের জমি বুজিয়ে দিয়েছি। হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।