শনিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে আগুনে পুড়ে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি, সম্পদ হারিয়ে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন জসিম
কমলনগরে আগুনে পুড়ে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি, সম্পদ হারিয়ে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন জসিম
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : মেঘনার জেলেদের অতিপরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মতিরহাট বাজারের তালিকদার টেলিকম। টেলিকমসহ মেঘনা নদীর জেলেদের ব্যবহার্য নানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্যের জন্য সুপরিচিত ছিল এ প্রতিষ্ঠান। কিন্ত বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে লাগা আগুনে সামান্য সময়ের ব্যবধানেই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ১৬ বছরের তিলে তিলে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানের পুঁজি হারিয়ে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন মালিক জসিম উদ্দিন। সহায় সম্বল হারিয়ে পরিবারের সবার চোখে মুখে অন্ধকার ছাপ। জসিম উদ্দিন তালুকদার চর কালকিনি ইউনিয়নের চর শামসুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, রোববার (৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মতিরহাট বাজারে বৈদ্যতিক সার্ট সার্কিট থেকে অগ্নকান্ডের ঘটনা ঘটে ।
খবর পেয়ে কমলনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষণে তালুকদার টেলিকমের নগদ টাকাসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত জয় পাটোয়ারী বস্ত্র বিতান, হাজী বস্ত্র বিতান এবং জাফর মেশিনারিজ।
কমলনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টীম লিডার ও ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবু জাপর জানান, মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় আমাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েছে। তার পরও আমরা গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
তিনি আরো জানান, চারটি দোকানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তবে তালুকদার টেলিকমে দামী মোবাইল সেটসহ অন্যন্যা ইলেকট্রনিকস পণ্য থাকায় একক ভাবে ওই দোকানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকার মত হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ঘটনার পরপরই কমলনগর থানা পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে তালুকদার টেলিকমের পরিবার সুত্রে জানা যায় জসিম উদ্দিন ২০০৮ সালে প্রায় ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মতিরহাট বাজারে ব্যবসা শুরু করেন। ১৬ বছরের ব্যবধানে তার ব্যবসায় মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ঘটনার দিন তার দোকানে ৮-১০টি ব্র্যান্ডের ২০ লাখ টাকা মূল্যের স্মার্ট ফোন ছিল সবগুলোই পুড়ে গেছে।
পাশাপাশি ফোনের এক্সেসরিজ, নদীর ইলেকট্রনিক, সৌর বিদ্যুৎতের মালামাল ছিল অন্তত ২২-২৩ লাখ টাকা মূল্যের। সবই পুড়ে গেছে।
এদিকে বাজারের ব্যবসায়ী মুরাদ জানায় আগুন লাগার খবর শুনে জসিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। গত ৫ দিনেও তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। এ ঘটনায় বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে বাজারের ব্যবসায়ী মুরাদ জানায় আগুন লাগার খবর শুনে জসিম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। গত ৫ দিনেও তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি।
এ ঘটনায় বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তার প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায় জসিমের এ দুর্দিনে প্রশাসনসহ ব্যবসায়িরা তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।