সোমবার ● ৩১ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে পিকআপভর্তি সরকারি বই বিক্রির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার -২
কমলনগরে পিকআপভর্তি সরকারি বই বিক্রির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার -২
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সরকারের বিনামূল্যের বিভিন্ন শ্রেণির বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে মাদ্রাসার দাতা সদস্য আবুল কাশেম বাদি হয়ে কমলনগর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মাদ্রাসা সুপার নুরল আমিনকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনা আটক বইয়ের ক্রেতা ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী মোশারেফ হোসেন ও পিকআপ চালক বিশাল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের হাজিপাড়া আল আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাচারকালে বইভর্তি পিকআপটি জব্দ করেন পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার হাজিপাড়া আল-আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাচারকালে এলাকাবাসী বইভর্তি একটি পিকআপ আটক করেন। এ সময় তাঁরা পিকআপে মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২২ সালের) বই দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বইভর্তি পিকআপটি (ঢাকা মেট্টো ন-১৫-৩২৭৫) জব্দ এবং বইয়ের ক্রেতা ও পিকআপ চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
বইয়ের ক্রেতা মোশারেফ হোসেন জানান, হাজিপাড়া আল-আরাফা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. নুরুল আমিন গত বৃহস্পতিবার তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দিয়ে পুরোনো কাগজ বিক্রির প্রস্তাব দেন। সে অনুযায়ী শনিবার তিনি পিকআপ নিয়ে ওই মাদ্রাসায় যান। পরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও সুপারের ভাগিনা মো. সোলাইমান ও আবদুজ্জাহের অফিস কক্ষের তালা খুলে বইগুলো (প্রায় ৪০০ কেজি) পিকআপে তুলে দেন।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানান, মাদ্রাসা সুপার শিক্ষাবর্ষের শুরুতে সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া বইগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে মাদ্রাসায় মজুদ রাখেন। পরে বইগুলো তিনি গোপনে বিক্রি করে দেন। এর আগেও তিনি একইভাবে সরকারি বই বিক্রিকালে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছেন। পরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিনি পার পান।
মাদ্র্রাসা সুপার মাওলানা মো. নুরুল আমিন দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন না। বই বিক্রির সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, বিনামূল্যের বই বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ক্রেতা ও পিকআপ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ