বুধবার ● ৮ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানান্তরের চিঠি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
কমলনগরে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানান্তরের চিঠি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চৌধুরী বাজারে অবস্থিত ‘হাজিরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্র’র ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে স্থানান্তরের নির্দেশনা আসে। চলছে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া।অপরদিকে, ভবনটি মোটেও ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমনটি দাবি করে অন্যত্র স্থানান্তরিত না করার প্রতিবাদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) সকালে ওই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় কমলনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগরসহ চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে কমলনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বলেন, চৌধুরী বাজারে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র হওয়ায় মানুষ শান্তিতে ও নিরাপদে আছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। ওই ভবনের আরও ৫০ বছর মেয়াদ আছে বলে দাবি করেন ভাইস চেয়ারম্যান সাগর।
জানা গেছে, কমলনগর থানা হওয়ার আগে হাজিরহাটে ওই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। পরবর্তিতে কমলনগর থানা হওয়া পর হাজিরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রটি চৌধুরী বাজারে স্থানান্তর করা হয়। চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের কক্ষে চরমার্টিন ও চরকালকিনি ইউনিয়ননের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে চৌধুরী বাজারে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু দুই ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করলে এ তদন্ত কেন্দ্রটি স্থানীয় মুন্সিরহাট অথবা বলির পুলে হওয়ার কথা। বর্তমানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাই ভাইস চেয়াম্যানের এ অযৌক্তিক দাবিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিত মনে করছেন তারা।
হাজিরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর আহম্মদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে অস্থায়ীভাবে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম চলছিল। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের ওই ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি কতৃপক্ষের নজরে আসলে স্থানান্তরে সিদ্ধান্ত হয়। পাশেই মুন্সিরহাট এলাকায় স্থানান্তরের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে চিঠি আসে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, উধ্বর্তন কতৃপক্ষের নির্দেশনায় ও চিঠির আলোকে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র স্থানান্তর প্রক্রিয়া চলছে।