বুধবার ● ৭ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতা কারাগারে
কমলনগরে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতা কারাগারে
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মো.মনির হোসেনসহ ৫জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে দীর্ঘ শুনানির পর লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত কাল মঙ্গলবার সংখ্যালঘু পরিবারের পক্ষে ট্রিকুট চন্দ্র দাস আদালতে মামলা করেন। অন্য আসামীরা হলো মো. মোহসীন, সমীর চন্দ্র দাস, মো. মিজান ও মো. খোকন। তারা সবাই উপজেলার দক্ষিণ চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন শুক্রবার দুপুরে উপজেলা চরকাদিরা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রানীর বাপের বাড়িতে শ্রমিক লীগ নেতা মনির ৫০-৬০ জন লোক নিয়ে ওই বাড়ির পানের বরজসহ বিভিন্ন ফলফলাদি গাছ কেটে ৬৪ শতাংশ জমি দখল করে । ওই সময় দখলদাররা তাদের ১০লক্ষাধিক টাকার পানের বরজসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয় এবং চতুর্পাশে বেড়া এবং একটি টিনের ঘর উত্তোলন করেন।
নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়েও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মুকুট চন্দ্র দাস ও তার ভাই ট্রিকুট চন্দ্র দাস বলেন, আমার ভাতিজা ডালিম কুমার দাস দীর্ঘ দিন ভারতে অবস্থান করছে। এ সুযোগে শ্রমিক লীগ নেতা মনির ও যুবলীগ নেতা সমির তাদের কাছে ডালিম কুমার ওই জমি বিক্রি করেছেন বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে ইউএনও অফিস ও কমলনগর থানায় অভিযোগ দিলে তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ মনির ও সমিরের নেতৃত্ব ৫০-৬০ একটি দল এসে অতর্কিত হামলা করে আমাদের জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় তারা আমাদের ৬৪ শতাংশ জমির পানের বরজ, সুপারি গাছ ও অন্যান্য ফলফলাদি গাছ কেটে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমাদের কোন লোকজন না থাকায় নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ফোন দিলে পুলিশ এসে দেখে চলে যায়। পুলিশ চলে গেলে তারা আবার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
পরে মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ট্রিকুট চন্দ্র দাস বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। আসামীরা (আজ) বুধবার আদাতলে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর সব আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।