সোমবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে জমি বিক্রি না করায় বার বার হামলা, মামলা
কমলনগরে জমি বিক্রি না করায় বার বার হামলা, মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৪০শতক জমি বিক্রি করতে চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হওয়ায় বার বার হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। এছাড়া চাচা ও চাচাতো ভাইরা ভুক্তভোগী আবদুজ জাহের ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নিরুপায় হয়ে জাহের তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতা চান।
মামলা সূত্র জানা যায়, ২০১৮ সালে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাশ্ববর্তী হাজী নুর মোহাম্মদ থেকে ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন আবদুজ জাহের। তার জমির পাশে আরেক চাচা তাজল হক থেকে তার চাচা নরুল হকের স্ত্রী হোসনেয়ার ৪ শতক ক্রয় করেন। এর পর থেকে চাচা নুরুল হক, চাচি হোসনেয়ারা ও চাচাতো ভাই বেলাল তার ক্রয়কৃত জমি তাদের কাছে বিক্রি করতে প্রস্তাব দেয়। এতে জাহের রাজি না হওয়ায় তারা জমিটি দখলে নেওয়ায়র চেষ্টা করে তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হলেও কোন সমাধান করতে পারেনি সালিশদাররা। পরে হোসনেয়ারা বেগম ৩০ই জানুয়ারী তার পরিবারের সদস্যদের হামলার ঘটনা উল্লেখ করে একটি সাজানো মামলা করলে পুলিশ প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। এর পর গত ১৮ এপ্রিল নুরুল হক জোরপূর্বক জাহেরের জমি দখলের চেষ্টা করে। ওই সময়য় জাহের তার স্ত্রী বাঁধা দিলে এলোপাতাড়ি তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে জাহের আদালতে মামলা করলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন আদালত। ১০ই মে ওই মামলায় কমলনগর থানা পুলিশ বেলাল ও নুরুল হককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান। জেল থেকে জামিনে এসে তারা আবারও তাকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়।
এর পর চাচাতো ভাই বেলাল বাদি হয়ে ১৮ আগস্ট আরেকটি সাজানো মামলা দায়ের করেন। মামলা করেও জাহেরের দুর্বল করতে না পেরে আবারও তার মেয়ে এবং স্ত্রী ওপর হামলা করে তারা। এর পর বেলালের ভাবি তামান্না বাদি হয়ে পূর্বের একই ঘটনা উল্লেখ করে ৩ই নভেম্বর আদালতে আরেকটি মামলা করেন।ওই মামলা কমলনগর থানায় তদন্তাধীন।
ভুক্তভোগী আবদুজ জাহের বলেন, আমি সব সময় বাড়িঘরে থাকিনা। আমার ক্রয়কৃত জমি তাদের কাছে বিক্রি না করায় বার বার আমার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এবং সাজানো মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একাদিকবার সালিশ বৈঠক করলে তাঁরা তারা মানেনি। এছাড়াও আশেপাশের অনেক মানুষের বিরুদ্ধে তাঁরা মামলা করে হয়রানি করছে। আমি আদালতের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার আশা করছি।
এদিকে প্রতিপক্ষ বেলাল দাবি করছেন। এক শতক জায়গা নিয়ে জাহেরের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় বর্তমানে ৭টি মামলা চলছে। এসব ঘটনার জন্য তিনি জাহেরকেই দায়ি করছেন।
স্থানীয় তোরাবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন মাষ্টার বলেন, জাহের নিরীহ হওয়ায় তার ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি আদালতের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।