বৃহস্পতিবার ● ২৫ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » এক্সক্লুসিভ » পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হতে পারে
পরিস্থিতি সামলানো মুশকিল হতে পারে
নিউজ ডেস্ক,
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশবাসীকে আরো সতর্ক হতে এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাফেরা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত মাসে সংক্রমণের হার ছিল মাত্র দুই শতাংশ। সেটি হয়ে গেছে ১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করোনার বেড সংখ্যা আবার বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে আরো অন্তত পাঁচটি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড করা হয়েছে। তবে দেশের মানুষ যদি মুখে মাস্ক না পরেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলেন, তাহলে করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সামলানো মুশকিল হতে পারে। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রোগের উৎপত্তি কমাতে হবে। কারণ, রোগী যে হারে আসছে, এভাবে চলতে থাকলে এই ব্যবস্থায় কুলাবে না।
দেশকে রক্ষা করতে হলে, অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হলে, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতেই হবে। বেশি ঘোরাঘুরি কমিয়ে ফেলতে হবে। হাসপাতালে যেসব রোগী এসেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তারা বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, যেসব জায়গার কারণে রোগী বাড়ছে, সংক্রমণ বাড়ছে, ওই জায়গাগুলো যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে সংক্রমণের হার কমে যাবে। কাজেই উৎপত্তিস্থলগুলো আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরপর আমরা অন্য কিছু চিন্তা করবো। পর্যটনের জায়গাগুলো থেকে সংক্রমণ বেশি হয়েছে। আমরা চাই সেগুলো সীমিত হোক। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ঢাকার কাছের জেলাগুলোতেও করোনা ইউনিট বাড়াতে বলা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকানো এবং আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকার আন্তরিক। তবে রোগের বিস্তার রোধে মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিলে জাতির এই মেধাবী মুখগুলোর ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে ২রা এপ্রিলই দেশে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে গ্রহণ করা হবে। এই ভর্তি পরীক্ষাটিতে স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে সরকারের পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা শাখা, শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল শাখা মিলে টিমওয়ার্ক ও কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের আশেপাশে এলাকার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবে।