সোমবার ● ১১ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » লক্ষ্মীপুরের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী পাবে স্কুল হেলথ্ কার্ড
লক্ষ্মীপুরের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী পাবে স্কুল হেলথ্ কার্ড
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা
লক্ষ্মীপুরের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী স্কুল হেলথ্ কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাবেন। প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হবে। তাদের শারীরিক এবং পুষ্টিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো স্বাস্থ্য কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এসডিজি-৩ ‘সকল বয়সী মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করণে’ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
রামগতি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে চর বাদাম দক্ষিণ পশ্চিম চরসীতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্কুল হেলথ্ কার্ড’ বিতরণ ও স্ক্রিনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খাঁনের সভাপতিত্বেএতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল গাফফার চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নূর এ আলম সিদ্দীকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহের নিগার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ড. আশফাকুর রহমান মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, পৌর মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, চর বাদাম ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীম প্রমুখ।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ভালো রাখতে স্কুলে ক্ষুদে ডাক্তার ও কৃমি নাশক প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিক্ষকরা আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিম গঠন করে তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। তাদের মধ্যে থেকে ক্ষুদে ডাক্তার তৈরি হবে। তারাই তাদের সহপাঠীদের উচ্চতা, দৃষ্টিশক্তি ও ওজন মেপে তা হেলথ্ কার্ডে লিপিবদ্ধ করবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা কার্ডের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
হেলথ্ কার্ডের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিগত অবস্থা, শারীরিক সমস্যা, দৃষ্টি পরীক্ষা, রক্তশূন্যতা, পালস্ ও হার্টবিটসহ সামগ্রিক বিষয় উল্লেখ থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্কুল ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও শুরু করেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার পাশাপাশি মানষিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল হেলথ্ কার্ড বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ এসএম আমির ফায়সাল।