বুধবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কমলনগরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা
কমলনগরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিয়ে এক লাখ ৩০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দীন মিয়াজি। ওই টাকার ৭৫হাজার টাকার ফেরত দিয়েছেন। বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভোট কারচুপি করে প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন একাধিক প্রার্থী।
নির্বাচনের আগের রাতে চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য পান্না আক্তারের (সূর্যমুখী) কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব অভিযোগ এনে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানান।
উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দীন মিয়াজী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা ইউপি নির্বাচনে চরলরেন্স ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ নগর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
ভুক্তভোগী প্রার্থী পান্না আক্তার বলেন, ভোট সুষ্ঠু করার আশ্বাস দিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দীন মিয়াজি আমার কাছ থেকে ভোটের আগের রাতে (১০নভেম্বর) এক লাখ ৩০হাজার টাকা নেয়। ভোটের দিন প্রতিপক্ষ প্রার্থী রেশমা আক্তার রুবির (মাইক) কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভোট গণনায় কারচুপি করে তাকে কৌশলে জিতিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় এক জন চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ৭৫হাজার টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকাও ফেরত দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার এমন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানান পান্না আক্তার।
ওই ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী মনি বেগম (হেলিকপ্টার) একই অভিযোগ তুলে বলেন, প্রিজাইজিং কর্মকর্তা এজেন্টদের বের করে দিয়ে আমার প্রাপ্ত ভোট মাইক প্রতীকের প্রার্থীর ব্যালটের সঙ্গে যুক্ত করে তাকে জিতিয়ে দেয়। ওই কেন্দ্রে আমার ৮টি ভোট দেখানো হয়েছে। আমি ওই কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবি জানাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দীন মিয়াজি বলেন, কোন প্রার্র্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয় সত্য নয়। ভোটে হেরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জায়েদুল হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
প্রসঙ্গত, ১১নভেম্বর কমলনগরের ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চরলরেন্স ইউনিয়নে চেয়ারম্যান এবং ওই ওয়ার্ডের সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় ৫নম্বর কেন্দ্রে শুধুমাত্র সংরক্ষিত নারী সদস্যের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।