শুক্রবার ● ২১ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় মামলা
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউজ এ্যাডভান্স
কমলনগর (লক্ষ্মীপু লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকে টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ভিকটিমের বাবা তাজল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় স্বামী সোহাগ ও ননদ সহিদা বেগমকে আসামী করা হয়। এ ঘটনায় আটক সোহাগকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোহাগ সদর উপজেলার চরভুতি গ্রামের সফিক উল্লাহ’র ছেলে।
প্রসঙ্গত, ৫ মাস আগে সদর উপজেলার সফিক উল্লাহ’র ছেলে মো.সোহাগের সঙ্গে কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার তাজল ইসলামের মেয়ে রিনার পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতক হিসেবে ৫০হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলে ওই সময় ৩০হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে সোহাগ স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে বাকি টাকার জন্য বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। বাকি টাকা না দেওয়ায় সোহাগ বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ঢাকা নিয়ে যায়। ঢাকা থেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ড্রামে করে ভারতের কলকাতার কাছাকাছি সোহাগের বোন সহিদার কাছে নিয়ে যায়। সহিদা ওই খানে পতিতালয়ের সর্দারনীর দায়িত্বে রয়েছেন। এভাবে তিন মাস যাবত সোহাগের স্ত্রী রিনার সাথে চলে অমানবিক নির্যাতন। এদিকে রিনাকে না পেয়ে তার পরিবাট সোহাগকে চাপ প্রয়োগ করলে রিনা ঢাকা তার বোনের বাসায় আছে বলে ওদের জানায় সোহাগ । গত ১০ অক্টোবর রিনার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোহাগের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রিনাকে তার বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে সোহাগকে চাপ দেয়। নিরুপায় হয়ে সোহাগ এক সপ্তাহ আগে রিনাকে অজ্ঞান করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। জ্ঞান ফিরলে রিনা বুজতে সে তার স্বামীর বাড়িতে আছে। পরে সে গোপনে বাবার বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে সব কিছু খুলে বলে। এর পর রিনার পরিবার সোহাগকে যৌতুকের বাকি টাকা দিবে মর্মে আসতে বলে। সোহাগ বুধবার রাতে টাকার লোভে রিনার বাড়িতে আসলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ভারতে পাচার করে পতিতলয়ে বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সোহাগকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং তার বোনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।